বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২ উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজন করা হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মেলা ও বিচ কার্নিভাল। আজ মঙ্গলবার থেকে সাত দিনব্যাপী চলবে এই উৎসব। মেলা উপলক্ষে কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোতে দেয়া হচ্ছে ৩০-৭০ শতাংশ মূল্য ছাড়। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও পাবেন এ সুবিধা।
এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজারকে আরও ব্রাইন্ডিং করতে হবে। প্রচার আরও বাড়াতে হবে। কার্ণিভালকে স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক মানের রুপ দেওয়া এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
“পর্যটনে নতুন ভাবনা” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সাত দিন ব্যাপী পর্যটন মেলার আয়োজনে করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বসছে এ মেলা। এই মেলায় স্পন্সর করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
মেলা উপলক্ষে গত শনিবার বিকেল ৪টায় লাবণী পয়েন্টে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সাতদিন ব্যাপী পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালের বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয় করেন। ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান তার বক্তব্যে বলছিলেন, কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বসছে আনন্দ-উৎসবের এ মেলা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দিনে রাতে পর্যটক বাড়ানোর দিকে আমরা এগুচ্ছি। এনিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কাজ করছে।
মেলায় বসছে ২০০টি স্টল। এছাড়া থাকবে পর্যটন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন, ঘুড়ি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানগেম, ক্ষুদ্র নৃ—তাত্ত্বিক উৎসব, ফানুস উৎসব, বালি ভাস্কর্য্য, বিচ ভলিবল, ক্রিকেট, ম্যাজিক শো, আতশবাজি, ডিজে শো ও কনসার্ট। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি আঞ্চলিক শিল্পী মেরি, পপ শিল্পী মেহেরিন, আঁখি আলমগীর ও জনপ্রিয় কুঁড়ে ঘর ও কৌতুক অভিনেতা আরমান পারর্ফম করবেন। এছাড়া বিদেশী পর্যটকদের অংশগ্রহণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান থাকবে। এতে তাঁরা জাজ মিউজিক, হ্যাবি মেটাল ও অপেরার মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে তুলবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে।
এদিকে মেলাকে কেন্দ্র করে জমকালো আয়োজনে সাজানো হচ্ছে বীচ এলাকা। লাবণী পয়েন্টের হোটেল কল্লোল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে ট্যুরিস্ট পুলিশের গেইট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে তৈরি করা হচ্ছে স্টল।
পর্যটন মেলাকে দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে ২০০টি স্টল স্থাপন করা হচ্ছে। এসব স্টলে কক্সবাজারের পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্র তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে থাকবে আচার, শুঁটকি ও পিঠাসহ হরেক রকমের আয়োজন।
আজ সকাল ১০টায় সুগন্ধা থেকে লাবনী পয়েন্টে প্রায় ২ হাজার মানুষের অংশ গ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যারলীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হবে।
হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, সপ্তাহব্যাপী আয়োজন উপলক্ষে কক্সবাজারে আগত হোটেল-মোটেল গুলোতে অতিথিরা হোটেল ভাড়ায় ৩০-৭০ শতাংশ ছাড় পাবেন। এছাড়াও সকল হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার ২০-৩০ শতাংশ মূল্য ছাড় দেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত